মিরু হাসান বাপ্পী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:মোবাইলে প্রেম তার পরে বিয়ে। দেড় বছরের মধ্যে তাদের সুখের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। তার পরের কাহিনী সুখের বিপরীত। শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত বিচ্ছেদ। গত রোববার টিএমএসএস মানবাধিকার বিভাগের উদ্যোগে এই দম্পত্তিকে পুণরায় সংসার জীবনে একত্র করতে বিয়ের আয়োজন করে।

বগুড়া জেলার সোনাতলা ইউনিয়নের দরিদ্র কৃষক পরিবারের দ্বিতীয় কন্যা স্মৃতি। দরিদ্রতার কারণে অষ্টম শ্রেণীর পর আর লেখা-পড়া হয়নি। মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে উঠে বগুড়ার কাটনারপাড়া নিবাসী তুষারের সাথে। প্রেমের সম্পর্ক পরবর্তীতে বিয়েতে রূপ নেয়। বিয়ের দেড় বছর পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর কথা মতো না চলায় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে। এভাবে তিন বছর অতিবাহিত হয়। একদিন স্বামী কাজের প্রয়োজনে কর্মস্থলে রাত্রিযাপন করলে স্মৃতির স্বামী সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হলে রাগ করে সন্তান সহ বাবার বাড়ী চলে গেলে তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে তালাক প্রদান করে।

 

তালাক প্রাপ্তির পর স্মৃতি টিএমএসএস এর মানবাধিকার ও জেন্ডার বিভাগে অভিযোগ দায়ের করলে দ্বিতীয় সালিসে পারস্পারিক ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে পুনরায় সংসার করলে সন্তানের জীবন সুন্দর হবে মর্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অবশেষে স্বামী-স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সংসার করতে সম্মত হলে টিএমএসএস এর মানবাধিকার বিভাগ বিয়ের আয়োজন করে। সরকারী কাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান, শেখেরকোলা ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মোহরানা কাবিনে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। বিয়ে পড়ান টিএমএসএস এর রিলিজিয়াস কমপ্লেক্স এর নূরানী বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল ফেরদৌস। উক্ত দম্পতিকে টিএমএসএস এর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

 

বিয়ে অনুষ্ঠানে টিএমএসএস এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকারকর্মী ও সমাজসেবী, উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্য মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু, টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মোছাঃ আমেনা খাতুন, উপদেষ্টা ও পর্ষদ সেক্রেটারী মোছাঃ মিনতি আখতার বানু, টিএমএসএস’র পরামর্শক (সুশাসন) মোঃ শামছুল আলম, পরিচালক (কার্যক্রম-২) মোঃ আব্দুস সালাম, মানবাধিকার কর্মী মোছাঃ সাহানা আফরোজ খানম প্রমুখ।